ঢাকা | শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
যুবলীগই ছিল শেখ হাসিনার একমাত্র ভ্যানগার্ড

পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ এখন মানবিক যুবলীগ ঃ আমু

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:২৬

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:২৬

 

আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন,পরশের নেতৃত্বে যুবলীগের ভাবমূর্তি প্রসংসিত হচছে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজ মানবিক যুবলীগ এ পরিনত হয়েছে। আমু আরো বলেন, শেখ হাসিনা ছোট বেলা থেকেই সংগ্রামী ও সাহসী ছিলেন। আমরা যখন ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি তখন তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী। তিনি সেখানকার ছাত্রীদের নিয়ে মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসৈনিক ছিলেন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।


আমু বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে যখন একটি অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিয়েছেন। যখন কোন আইনের শাসন ছিল না সেই দুর্বিসহ সময়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন আলোর দিশারী হয়ে।

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবলীগই ছিল শেখ হাসিনার একমাত্র ভ্যানগার্ড এবং এই যুবলীগই সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেন সেদিন নির্বাসন থেকে বাংলাদেশ অস্তিত্বে ফিরলো। ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন সাময়িকী টাইম পত্রিকায় বাংলাদেশের ওপর একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ডান পাশে লেখা ছিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সমার্থক। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছিলাম। কারণ ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। আমরা শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করছি এ জন্যই যে, তাঁর কাছে আমাদের অশেষ দায়, অশেষ ঋণ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তাঁর সম্মোহনী শক্তি, তিনি সাহসী। শেখ হাসিনা সাহসী না হলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। তিনি সাহসী না হলে পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে তৈরি হতো না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে আমরা আজ একটা মানচিত্র পেতাম না, একটা পতাকা পেতাম না, জাতীয় সংগীত পেতাম না; শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায় বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না এবং একটা মর্যাদাশীল দেশ পেতাম না। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করার সংগ্রামে নেমেছিলেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি সকল দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করে সমগ্র দেশ সফর করে বেড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং জাতির পিতার হত্যার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করতে হয়েছে। পুড়ে পুড়ে খাটি হয়েছেন তিনি। তাঁর জীবনের সংগ্রাম এবং স্বজন হারানোর অভিজ্ঞতা তাকে শুধু একজন ত্যাগী জননেত্রী হিসেবেই সৃষ্টি করেনি, বিশ্বের একজন অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনকালে ১০টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এসময় গাজীপুর মহানগর শাখা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকারের পক্ষ থেকে দুইটি ঘর প্রদান করা হয়। ঘর দুটি গ্রহণ করেন মো. ইমান আলী, প্রেম কুমার দাস। গাজীপুর মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলামের পক্ষ থেকে ৫টি ঘর প্রদান করা হয়। ঘরগুলো গ্রহণ করেন-ফাতেমা তুজ জোহরা (দুটি), আনোয়ারা বেগম (দুটি), নুর মোহাম্মদ কটু মিয়া। নরসিংদী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. শামছুল ইসলাম মোল্লার পক্ষ থেকে একটি ঘর গ্রহণ করেন-রতন বালা, ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক এ্যাড. আজহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে একটি ঘর গ্রহণ করেন-বিউটি খাতুন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে একটি ঘর গ্রহণ করেন-মোসা. খুশবান। ওই আশ্রয় কর্মসূচি চলমান থাকবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: