odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

ইংল্যান্ড–ভারতের সঙ্গে ম্যাচ চায় বিসিবি

Admin 1 | প্রকাশিত: ২০ June ২০১৭ ০৯:২০

Admin 1
প্রকাশিত: ২০ June ২০১৭ ০৯:২০

লন্ডনে গতকাল শুরু হয়ে গেছে ‘আইসিসির অ্যানুয়াল কনফারেন্স উইক’, ২৩ জুলাই যার শেষটা হবে বার্ষিক সাধারণ সভা দিয়ে। সভার আলোচ্যসূচির একটি জায়গাতেই বাংলাদেশের বেশি আগ্রহ। সেটি হলো আর্থিক ও পরিচালন কাঠামোর নতুন প্রস্তাব।

আইসিসি থেকে বিসিবির আট বছরে পাওয়ার কথা ৭৬ মিলিয়ন ডলার। প্রস্তাবটি পাস হলে তা বেড়ে হবে ১৩২ মিলিয়ন ডলার। বছরে ৯ মিলিয়ন ডলারের জায়গায় আসবে ১৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্তের পর এখন এই প্রস্তাব আইসিসির সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি বার্ষিক সভা সামনে রেখে বিসিবি কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খেলা বাড়ানোরও একটি ‘প্রকল্প’ হাতে নিয়ে লন্ডন গেছেন বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ‘অ্যানুয়াল কনফারেন্স উইকে’ যোগ দিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বর্তমানে লন্ডনে আছেন।

ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনায় (এফটিপি) ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ নেই। সূত্র জানিয়েছে, বোর্ড সভার বাইরে বিসিসিআই ও ইসিবিকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেবে বিসিবি। এ ছাড়া অন্য দুটি বোর্ডের সঙ্গে আগামী বছর বাংলাদেশে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। অন্য বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে ‘এ’ দলের সফর বিনিময় কর্মসূচি নিয়েও।

বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসও কাল মুঠোফোনে সে রকমই জানালেন, ‘আইসিসির এ রকম বড় সভার সময় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েও বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ সব সময়ই থাকে। আমরা ইংল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে খেলার খুব কম সুযোগ পাচ্ছি। ভবিষ্যতের জন্য এই দুই বোর্ডকে কিছু ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিতে পারি আমরা। পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে যে আমরা এখন ভালো একটা অবস্থানে আছি, সেটা তাদের জোর দিয়ে বোঝাতে হবে।’ সাধারণ সভার আগে দুই দিনব্যাপী চলে প্রধান নির্বাহীদের সভা। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আলোচনাগুলো সাধারণত এ সভার সময়ই গতি পায়।

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাজার ভালো নয়, এত দিন এটাই জানত সবাই। সে জন্য এসব দেশে গিয়ে খেলার সুযোগও কম পেত বাংলাদেশ দল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর সেটি আর বলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন জালাল ইউনুস, ‘ইংল্যান্ডও এবার বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশ তাদের দেশে গিয়ে খেললে কী প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের খেলা হলে দর্শকে মাঠ ভরে যায়। অন্য অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে খেলাটাই বরং বাণিজ্যিকভাবে তাদের জন্য বেশি লাভজনক।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: