odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 11th December 2025, ১১th December ২০২৫

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২২ February ২০২৩ ০৬:১০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২২ February ২০২৩ ০৬:১০

মোঃ নাসির উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টারঃ- বার বার নিজের নাম-পরিচয় ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকা দুই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গ্রেপ্তারের নাম মো. রনি ওরফে রাশেদ মাহমুদ ওরফে রনি (৩৫)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২ এর একটি দল। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এ এসপি মো. ফজলুল হক। তিনি বলেন, বিগত ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল ডিএমপির সবুজবাগ থানায় মাদক মামলায় ও ২০১৫ সালের যাত্রাবাড়ী থানায় মাদক মামলার আসামি রনি। এই দুটি মামলায় আদালত ২০২০-২২ সালে মো. রনিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর থেকে রনি আত্মগোপনে চলে যান গ্রেপ্তার এড়াতে। গতকাল কেরানীগঞ্জ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি জানায়, রনি মাদক চক্রের একজন পেশাদার সদস্য। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, দস্যুতা ও মাদকের ৪টি মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ঢাকায় নিয়ে এসে তার সহযোগীদের কাছে সরবরাহ করত। রনি মোট ১৬ মাস জেল খেটেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক কারবারি চালিয়ে যায়। রনি তার খালুর কাছে বড় হয়েছেন। এ জন্য মামলায় মা-বাবার নামের পরিবর্তে খালা-খালুর নাম দিয়ে থাকেন। এছাড়া ২০২৩ সালে দস্যুতা মামলায় নিজের পিতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দেন। ২০০৭ সালে তার এনআইডি করেছে ও ২০১৩ সালে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে মাদক কারবারির জন্য ওই এনআইডি পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, রনি যখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরা পড়ে তখনই সে ভুল নাম ও ঠিকানা দেয়। ফলে তার প্রকৃত মামলা কয়টি আছে তাও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। একটি মামলায় ধরা পড়লে বাকি মামলাগুলো অনলাইনে চেক করলে দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু নামের বিভ্রান্তি থাকায় তাকে ধরা যায়নি। এভাবে পরিচয় গোপন করে মাদক কারবারি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: