odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে বায়রার নির্বাচন করতে হাইকোর্ট নির্দেশ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২ December ২০২৪ ২০:১৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২ December ২০২৪ ২০:১৭

প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জনশক্তি রপ্তানীকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক রিট নিষ্পত্তি করে আজ এ নির্দেশ দেন।

বাণিজ্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

আদালতে বায়রার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। সাধারণ সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এডভোকেট আহসানুল করিম, এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল চ্যালেঞ্জ করে আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ নভেম্বর বায়রার নির্বাচনী তফসিল স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১১ নভেম্বর বায়রার নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে বায়রার নির্বাচন নিয়ে রুল নিষ্পত্তি করতেও নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী হাইকোর্টে রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় হলো।

এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বায়রা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা ১৯৯৪ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত ওই বিধিমালার বিধি ১৪-তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে- ‘প্রত্যেক বাণিজ্য সংগঠনের বিদ্যমান কার্যনির্বাহী কমিটি পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষেত্র মতে সংশ্লিষ্ট সদস্য পদের নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন পূর্বে নির্বাচনী বোর্ড ও ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচনে আপিল ভোট গঠন করিবে’ কিন্তু বর্তমান বায়রার যে আংশিক কমিটি রয়েছে এই তফসিল ঘোষণা করেছে ৯০ দিনের পূর্বে। ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নয় জন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদত্যাগ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত তিনি ইতোমধ্যে পালিয়ে গেছেন। বর্তমান সভাপতি বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। এমতাবস্থায় নির্বাচনী তফসিলটি ঘোষণা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে উভয়পক্ষকে শুনে তফসিল স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। পরে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে যায়। সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে হাকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: