odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

গলাচিপায় নির্বাহী আদালতের আদেশ অমান্য করে জমির মালিককে প্রাননাশের হুমকি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৮

পটুয়াখালীর গলাচিপায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পক্ষিয়া গ্রামে। জমির মালিক পক্ষকে হয়রানী ও হেরাজ করার জন্য প্রতিপক্ষ মো. রেজাউল প্যাদা বাদী হয়ে জমির মালিক মো. ইউসুফ প্যাদা ও তার স্ত্রী মোসা. মাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালাতে এমপি ৬৬৭/২০২৪ নং মোকদ্দমা দায়ের করে। মামলা সূত্রে ও জমির মালিক মোসা. মাহিনুর বেগম জানান, আমাদের একই এলাকার প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীর ও আমার ওয়ারিশি এবং ক্রয়কৃত জায়গা জমি ও বাড়িঘর দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা কারণে অকারণে আমাদেরকে গালিগালাজ ও মারধর করত। কোন প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকি দেয়। তারা এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে চলে। আইন কানুনের কোন তোয়াক্কা করে না। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমার ও আমার স্বামীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর দখলের জন্য আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ নির্বাহী আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের পক্ষে রায় দিলেও প্রতিপক্ষ রেজাউল প্যাদা তার দলীয় লোকজন নিয়ে গত মঙ্গলবার ১২ আগস্ট দুপুরে আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে। প্রকৃতপক্ষে রেজাউল প্যাদা আমাদের পাশের দাগে ৫.১৬ শতাংশ জমির মালিকানা আছে। কিন্তু সে ২৭ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। আমাদের অংশের জমি রেজাউল প্যাদাকে ছেড়ে দিতে বলিলেও সে তার কোন তোয়াক্কা করে না। এ বিষয়ে মো. ইউসুফ প্যাদা বলেন, রেজাউল প্যাদা সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদীর লোক। তার ছত্রছায়ায় থাকিয়া রেজাউল প্যাদা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আমি আমার জমির সীমানার মধ্যে বেড়া দিতে গেলে রেজাউল প্যাদা দলবল নিয়ে আমাকে খুন করার জন্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসলে রেজাউল প্যাদা ও তার স্ত্রী তাদের নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে, গাছপালা কেটে এবং তার স্ত্রী নিজেই নিজের জখম সৃষ্টি করে আমাদেরকে ফাঁসাতে চেয়েছিল এবং সাংবাদিকদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। তারা নিজেরা নিজেদের হাত পা ব্লেড দিয়ে কেটে উল্টো হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে চায়। কিন্তু সকল ঘটনার প্রমান তথা ভিডিও থাকায় তারা থানায় মামলা করতে পারে নাই। তারা খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। বর্তমানে আমরা তাদের ভয়ে ঘরে থাকতে পারি না। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও রেজাউল প্যাদা শালিসীতে উপস্থিত হয় নাই এবং শালিসী অমান্য করে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ রেজাউল প্যাদা ও তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ঐ জায়গায় আমাদেরও জমি আছে। আমরা আমাদের জায়গা কাউকে দেব না। আমরাও আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছি। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, তাই আদালতের মাধ্যমে বিচার হবে। আদালতের আদেশ অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


মোঃ নাসির উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালীঃ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: