
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে আজ সোমবার বৃষ্টির কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত রয়েছে।
পাকিস্তানের বুনের থেকে এএফপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা, পানি বৃদ্ধি ও ভূমিধস হয়েছে। এখানকার গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বহু বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েছে।
দেশটির প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, সেখানে ৩২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে নতুন করে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি রয়েছে।
নতুন করে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকরা খাইবার পাখতুনখোয়ায় জীবিতদের অনুসন্ধানে এবং মরদেহ উদ্ধারে শত শত উদ্ধারকর্মীকে সহায়তা করছিলেন। তবে, বৃষ্টির কারণে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
আকস্মিক বন্যায় বুনের জেলার অন্তত ১২টি গ্রাম তছনছ হয়ে গেছে এবং এখন পর্যন্ত ২১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বয়সী স্বেচ্ছাসেবক৩১ বছর বয়সী নিসার আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে নতুন করে বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাদা ও পাথরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো কয়েক ডজন মরদেহ চাপা পড়ে আছে।
কেবল ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব। নতুন করে বৃষ্টিপাতের ফলে এই অঞ্চলে প্রবেশের জন্য নির্মিত অস্থায়ী রেলপথগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এখনো প্রায় ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
বুনেরের বাসিন্দা গুলাম হোসেন (৩৫) বলেন, ‘এখন অল্প বৃষ্টি হলেও আমরা ভয় পাচ্ছি। কারণ, সেদিন হালকা বৃষ্টি হয়েছিল। নিশ্চিন্ত থাকা মানুষগুলো ঝড়ের তাণ্ডবে ভেসে গেছে।’
১৮ বছর বয়সী হযরত উল্লাহ বলেন, ‘শিশু এবং নারীরা ভয়ে পাহাড়ের দিকে পালাচ্ছে এবং চিৎকার করছে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: