odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 15th December 2025, ১৫th December ২০২৫

শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন : চসিক মেয়র

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩ October ২০২৫ ১৯:৫১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩ October ২০২৫ ১৯:৫১

অধিকার পত্র ডেস্ক 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন।
তিনি বলেন- শহীদ জিয়ার নির্দেশিত কৃষি বিপ্লব আমাদের খাদ্য স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। যদি আমরা আবারও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে চাই, তবে তাঁর দর্শনে ফিরে গিয়ে কৃষি ও উৎপাদনমুখী অর্থনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হারলা গ্রামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বরুমতি খাল খননের সময় বিশ্রাম নেওয়া সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক পুনঃনির্মাণ ও নবনির্মিত বৈঠকখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র এসব কথা বলেন। 

মেয়র বলেন, শহীদ জিয়ার দেশপ্রেম, সততা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ উন্নয়নের যে দর্শন তিনি দিয়েছিলেন, সেটিই আজকের সংকট উত্তরণের মূল চাবিকাঠি।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া কৃষি উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশে যে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, তার অংশ হিসেবেই তিনি চন্দনাইশের হারলা গ্রামের এই বরুমতি খালের উদ্বোধন করেছিলেন। কৃষিকে জনপ্রিয় করে তোলার পাশাপাশি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখার এই কর্মসূচি ছিল এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।

স্মৃতিচারণ করে মেয়র বলেন, কালের বিবর্তনে শহীদ জিয়ার স্থাপিত স্মৃতিফলকটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ পুনঃনির্মিত এই স্মৃতিফলক ও বৈঠকখানা আমাদের ইতিহাসকে নতুন করে ধারণ করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া যেই স্থানে বসে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন, ঠিক সেই স্থানে আজ আমরা আবারও তাঁর অবদান স্মরণ করছি।

ডা. শাহাদাত বলেন, খাল খনন কর্মসূচি বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। দেড় বছরে এক হাজার ৫০০টির বেশি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, যা সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। ১৯৭৯-১৯৮১ সালের মধ্যে মোট ২৭৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৬৩৬ মাইল খাল খনন করা হয়। যে খাল খনন কর্মসূচির ফলে ১৯৮০ সালে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এই কর্মসূচি গ্রামীণ স্বনির্ভরতা বাড়াতে সহায়ক ছিল। 

চসিক মেয়র বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে খাল খনন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশের মডেল তৈরি করা। এই খাল খনন কর্মসূচিটি চলমান থাকলে বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রতিবছর যে বন্যা দেখা যাচ্ছে তা এতটা প্রকট হতো না।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ইখতিয়ার হোসেন প্রমুখ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: