অধিকারপত্র ডটকম
জেরুজালেম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলের কট্টরডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের সাম্প্রতিক প্রস্তাব ঘিরে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পার্লামেন্টে সরকারদলীয় কয়েকজন এমপি ফিলিস্তিনি বন্দিদের জন্য মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের দাবিতে গলায় স্বর্ণের ফাঁসির দড়ি-আকৃতির নেকলেস পরে উপস্থিত হন। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মূল তথ্য / ঘটনাপ্রবাহ
- বেন-গভির দাবি করছেন, “রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য” ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিরুদ্ধে ফাঁসিতে ঝোলানোর সুযোগ প্রয়োজন।
- মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গত দুই বছরে—বেন-গভির দায়িত্ব নেওয়ার পর—নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ফলে কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি কারাগারে মারা গেছে।
- মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহালের দাবি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের মৌলিক নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলেও অভিযোগ উঠেছে।
- এমপিদের ‘স্বর্ণের ফাঁসি’ নেকলেস পরে সংসদে প্রবেশ করাকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সরাসরি ঘৃণা ও সহিংসতার প্রতীক হিসেবে দেখছে পর্যবেক্ষক মহল।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
- ইতামার বেন-গভির বলেন, “যারা ইসরায়েলি নাগরিকদের ক্ষতি করবে, তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডই হবে উপযুক্ত শাস্তি।”
- মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, “ইতোমধ্যে শতাধিক বন্দি নির্যাতনে মারা গেছে—এটি আরও কঠোর দমনমূলক নীতি প্রয়োগের পূর্বাভাস।”
- ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে “রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হত্যার বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টা” হিসেবে নিন্দা জানায়।
ইসরায়েলি এমপিদের গলায় ‘স্বর্ণের ফাঁসি’! ফিলিস্তিনি বন্দিদের ঝুলিয়ে হত্যার ক্ষমতা চাই বেন-গভিরের
#ইসরায়েলিআইনপ্রণেতা, #স্বর্ণেরফাঁসিনেকলেস, #ফিলিস্তিনিবন্দিমৃত্যু, #ইতামারবেনগভির, #মৃত্যুদণ্ডবিতর্ক, #ইসরায়েলমানবাধিকারলঙ্ঘন, #গাজাপশ্চিমতীরনির্যাতন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: