প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা জামায়াতের আমির হারুন অর রশিদ ও চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতের আমির মো. শরীফ হোসাইন অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এমনকি আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জামায়াত।
আহত জামায়াত কর্মীদের দেখতে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ভোলা–৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল। তিনি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মালতিয়া জামায়াতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি মূলত কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা। তাঁর দাবি, জামায়াতের গণসংযোগ চলাকালে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের আগে ও পরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামিসহ ইসলামি দলগুলো একসঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কিন্তু এখন জামায়াত আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারণায় নামায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, “এ নিয়ে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়।” তাঁর দাবি অনুযায়ী, জামায়াতের হামলায় বিএনপিরও বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘিরে চরফ্যাশনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: