odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছে আপিল বিভাগ

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৯ November ২০১৯ ০২:৪৪

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৯ November ২০১৯ ০২:৪৪

খালেদা জিয়া এখন কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট চেয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন আপিল বিভাগে দাখিল করতে হবে। ওইদিনই আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুরের আর্জি পেশ করে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ২৫ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ ২৮ নভেম্বর দিন ঠিক করেন। গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে এ আপিল আবেদন করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচবছর কারাদন্ডে দন্ডিত কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। এ মামলায় হাইকোর্টে আপিলের পর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় দেয় আদালত। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সে আবেদন এখনও আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: