06/28/2025 সুযোগ পেলে খামেনেয়ীকে হত্যা করত ইসরাইল : প্রতিরক্ষামন্ত্রী
odhikarpatra
২৭ জুন ২০২৫ ২০:৪৪
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, যুদ্ধ চলাকালে সুযোগ পেলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীকে তারা হত্যা করতেন।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের সরকারি রেডিও চ্যানেল ‘কান’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেন, ‘তিনি যদি আমাদের নিশানায় থাকতেন, আমরা তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। খামেনেয়ী বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি মাটির গভীরে নেমে যান এবং তার সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন... ফলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তব হয়নি।’
তবে ইসরাইলের টেলিভিশন চ্যানেল ১৩-তে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে কাৎজ জানান, এখন তারা আর খামেনেয়ীকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাবে না, কারণ ‘যুদ্ধবিরতির আগের সময় ও পরের সময়ের মধ্যে তফাত আছে।’
উল্লেখ্য, যুদ্ধ চলাকালে কাৎজ বলেছিলেন, ‘খামেনেয়ীকে আর বেঁচে থাকতে দেওয়া যায় না।’ সে সময় খবরে বলা হয়েছিল, খামেনেয়ীকে হত্যার ইসরাইলি পরিকল্পনায় ওয়াশিংটন ভেটো দিয়েছিল।
কিন্তু ‘কান’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেন, ‘খামেনেয়ীর বাংকারেই থাকা উচিত।’ তিনি যোগ করেন, ‘তিনি যেন বহুদিন গভীর বাংকারে কাটানো নাসরুল্লাহ থেকে শিক্ষা নেন।’ এখানে তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর সাবেক নেতা হাসান নাসরুল্লাহর কথা উল্লেখ করেন।
খামেনেয়ীর গতিবিধি অত্যন্ত গোপনীয় ও কড়া নিরাপত্তার আওতায় থাকে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি কথনও ইরানের বাইরে যাননি।
কাৎজ বলেন, ইসরাইল এখনও ইরানের ওপর বৈমানিক আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং প্রয়োজনে আবার হামলা চালাতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেব না এবং (ইসরাইলকে) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হুমকি দেওয়ার সুযোগও দেব না।’
ইসরাইলি চ্যানেল ১২-তে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে কাৎজ স্বীকার করেন, ইরানের সব সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অবস্থান সম্পর্কে ইসরাইলের জানা নেই। তবে তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম নিজে কোনো সমস্যা নয়, আমাদের লক্ষ্য ছিল উৎপাদন সক্ষমতা।’
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া একটি গোয়েন্দা মূল্যায়নে বলা হয়, এতে ইরান কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে। তবে কাৎজ এবং কিছু মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তা বলছেন, ইরানের এই ক্ষতি পূরণে কয়েক বছর লাগবে।
১২ দিনব্যাপী যুদ্ধের পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
১৩ জুন ইসরাইল একতরফাভাবে ইরানের ওপর বোমা হামলা শুরু করে, দাবি করে যে তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।