12/19/2025 বিয়ে করায় পারিবারিক অশান্তি, শেষ পর্যন্ত বাবা–মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করল ছেলে
odhikarpatra
১৮ December ২০২৫ ২৩:৪৫
ক্রাইম প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম
উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে জন্ম নেওয়া এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুসলিম এক মহিলাকে বিয়ে করায় বাবা–মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কচ্ছেদের জেরে শেষ পর্যন্ত তাঁদেরই নৃশংসভাবে খুন করল ছেলে অম্বেশ। শুধু হত্যা নয়, প্রমাণ লোপাটে বাবা–মায়ের দেহ টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন প্রৌঢ় দম্পতি শ্যাম বাহাদুর ও ববিতা। তাঁদের মেয়ে বারবার থানায় এসে খোঁজ নিলেও কোনো হদিস মিলছিল না। অবশেষে ১৩ ডিসেম্বর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁদের ছেলে অম্বেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। জেরার মুখেই সে ভয়াবহ অপরাধের কথা স্বীকার করে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, করোনার সময় থেকেই বাবা–মায়ের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অম্বেশ। কলকাতায় গিয়ে মুসলিম এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। এই আন্তধর্ম বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তাঁর পরিবার। দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর তিন মাস আগে আচমকাই উত্তর প্রদেশের বাড়িতে ফিরে আসেন অম্বেশ। সংসারজীবনের চাপ ও পারিবারিক ক্ষোভ মিলিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গত ৮ ডিসেম্বর মা-বাবার সঙ্গে তীব্র ঝগড়ার একপর্যায়ে অম্বেশ লোহার রড দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে এবং দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে বাবাকে হত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে চপার দিয়ে দেহ কেটে তিন টুকরো করা হয়। দুইটি দেহ ছয়টি সিমেন্টের ব্যাগে ভরে গাড়িতে করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ঘটনার পুনর্গঠন সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে অম্বেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নদী থেকে দেহাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পারিবারিক বিরোধ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং চরম সহিংসতার এমন পরিণতি সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।