odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাউশি”র ৫ নির্দেশনা

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১৯ July ২০২৩ ১৮:২৩

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১৯ July ২০২৩ ১৮:২৩

ডেক্স নিউজ :

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল মঙ্গলবার মাউশির পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুন্ন হচ্ছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো- প্রতিষ্ঠান প্রধানদের  নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে। শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে কোনো ধরনের মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনে কোন ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গর্ভনিং বডি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মাউশি’র চিঠিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা আরও হয়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন; যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি, শিক্ষাপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর। এরমধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি।

দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনো নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেয়াসহ সার্বিক নজর দেয়া হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: