odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জাদুবলেই কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য:কৃষিমন্ত্রী

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৩ August ২০২৩ ০২:০৪

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৩ August ২০২৩ ০২:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জাদুবলেই দেশের কৃষি খাতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল। বিদেশ থেকে আমদানি করে ও সাহায্য নিয়ে এই খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করতে হতো। আর দেশ এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনেক ফসলে উদ্বৃত্ত। আজ বুধবার (০২ আগস্ট )  ঢাকায় হোটেল শেরাটনে ‘জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ( আইসিসি) খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়েছে ৭ গুণ, ভুট্টার ৮ গুণ, পেঁয়াজের ৫ গুণ, চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০%।  কৃষি উৎপাদনের এই সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এই সাফল্য আলাদীনের চেরাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়নি, অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জাদুবলে। কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন হোক বা না হোক দেশের কৃষি সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করেই ফসল ফলাতে হয়। ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আমরা কাজ করছি।

কৃষিপণ্যের বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে দেশ অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাবনা অনেক। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এখানে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিখাতে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশিদ আলম এবং  ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ নুর খোন্দকার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: