odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে অপসারন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৯ December ২০১৭ ১৩:৩৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৯ December ২০১৭ ১৩:৩৫

দায়িত্বে অবহেলা ও ব্যাংক পরিচালনায় ব্যর্থতার দায়ে বেসরকারি খাতের দ্য ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী এমডিকে অপসারণের চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠি গ্রহণ করেছে। আজ থেকেই এই অপসারণ কার্যকর হয়েছে। এমডির চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৮ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এমডিকে অপসারণের চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা সেটি গ্রহণ করেছেন। আজ সকালে তাঁরা চিঠি গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ কে এম শামীমের শুনানি শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। ওই বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, অভিযোগের বিষয়ে সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি ফারমার্সের এমডি। গত ২৬ নভেম্বর এ কে এম শামীমকে অপসারণে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়; প্রথমত, ব্যাংকে তারল্য ব্যবস্থাপনা করতে এমডি ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে ব্যাংকটি নগদ জমা বা সিআরআরের এবং সংবিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআরের অর্থ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা না মেনে ব্যাংকটি ঋণ বিতরণ করেছে। এ কে এম শামীমকে কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য তা স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এ কমিটিই ১৩ ডিসেম্বর তাঁর শুনানি করে। গত ২৭ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এ ছাড়া ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক মাহাবুবুল হক চিশতীকেও পদ ছাড়তে হয়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বিশেষ সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভাতেই নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটি, নিরীক্ষা কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। সূত্র জানায়, তারল্যসংকটে পড়া ব্যাংকটি থেকে পাওনা টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। ফলে গ্রাহকেরা প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: