odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

রোহিঙ্গা ইস্যু: রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ January ২০১৮ ১৬:০৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ January ২০১৮ ১৬:০৯

মিয়ানমার থেকে আসা এক মেয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি এক ছেলের বিয়ের ঘটনায় ছেলের পরিবারকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রিট আবেদনকারীকে ৩০ দিনের মধ্যে খরচা হিসেবে এক লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মিসবা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ফরেনারস অ্যাক্ট অনুসারে বিশেষ এলাকা থেকে কাউকে বিয়ে করা ও নিয়ে আসা অপরাধ। এ বিষয়ে বিধিনিষেধ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এ অবস্থায় মিয়ানমার থেকে আসা মেয়েকে বিয়ে করা ও নিয়ে আসা আইনের পরিপন্থী। হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে রিটটি করা হয়। তাই আদালত রিট আবেদনকারীকে খরচা হিসেবে এক মাসের মধ্যে এক লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়ে রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।

নথিপত্রে দেখা যায়, হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন মানিকগঞ্জের সিংড়া উপজেলার বাবুল হোসেন। তাঁর ছেলে শোয়েব হোসেন জুয়েল কুতুপালং শরণার্থীশিবিরের রাফিসা (১৮) নামের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিশেষ এলাকা’সমূহে বিবাহ নিবন্ধনসংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশি ছেলের সঙ্গে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ের বিষয়ে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাবুল হোসেন রিটটি করেন। এতে এই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতাও স্থগিত চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে দেখা যায় যে, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কুতুপালংয়ে শোয়েব ও রাফিসার বিয়ের প্রস্তুতি কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়ে। পরে মসজিদে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁরা সিংরাতে ফিরে আসেন। পরে পুলিশ তল্লাশি চালালে তাঁরা অন্যত্র চলে যান। এ অবস্থায় ছেলেটির বাবা রিট করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: