
সোমালি সেনাবাহিনী এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত দক্ষিণ জুবাল্যান্ড অঞ্চলের অনুগত বাহিনীর মধ্যে মঙ্গলবার তীব্র লড়াইয়ে কমপক্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছে।
মোগাদিশু থেকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সোমালিয়া একটি ফেডারেশন। যেখানে পাঁচটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য রয়েছে: প্যান্টল্যান্ড, জুবাল্যান্ড, গালমুডুগ, হিরশাবেল ও দক্ষিণ পশ্চিম। এছাড়াও এর একটি কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছেম যা রাজধানী মোগাদিশুতে অবস্থিত।
দেশটির দক্ষিণ গেডো অঞ্চলের বেলেড হাও শহরে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা দীর্ঘদিন ধরে মোগাদিশুর সঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনায় জড়িয়ে ছিল।
জুবাল্যান্ড নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ইউসুফ আহমেদ এএফপিকে বলেন, সোমালি সেনাবাহিনী ‘শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার’ চেষ্টায় আক্রমণ শুরু করলে এ লড়াই শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুজন সৈন্যকে হারিয়েছি এবং জেলা প্রশাসনের সদর দপ্তরের কাছে নিহত তিন হামলাকারীর লাশ দেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জুবাল্যান্ড নিরাপত্তা বাহিনী এই হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’
গেদোর গভর্নর মোহাম্মদ হুসেন আল-কাদি বলেন, আব্দিরশিদ হাসান আবদিনুর একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে আসার পরপরই আক্রমণ শুরু হয়।
তিনি পূর্বে জুবাল্যান্ডের নিরাপত্তা মন্ত্রী ও বর্তমানে এই অঞ্চলের গোয়েন্দা প্রধান।
জুবাল্যান্ড সরকার কর্তৃক মনোনীত আল-কাদি বলেন, ‘তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।’
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক ভবন থেকে ফেডারেল সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে, সরকার জুবাল্যান্ড নেতা আহমেদ মাদোবেকে দোষারোপ করেছে।
মঙ্গলবারের হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে অভিযুক্ত এবং এটিকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ বলে অভিহিত করেছে।
জুবাল্যান্ড ও সোমালিয়ার ফেডারেল সরকারের মধ্যে চলমান উত্তেজনা গত বছর আরও তীব্র হয়, যখন সাবেক যুদ্ধবাজ মাডোব চাপ উপেক্ষা করে একতরফাভাবে আঞ্চলিক নির্বাচন আয়োজন করেন এবং তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন।
মোগাদিশু তার এই পুনঃনির্বাচিত হওয়াকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: