
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার এই হামলায় একটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নগরীর সামরিক প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানীর আশপাশের কমপক্ষে ১০টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
টেলিগ্রামে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ক্লাইমেনকো বলেছেন, ‘আজ রাতে শত্রুরা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় সভিয়াতোশিনস্কি ও সোলোমিয়ানস্কি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ভোর থেকে শুরু করে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালানো রাশিয়ার এই হামলায় কিয়েভে ১ জন নিহত ও ২০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো এক পোস্টে বলেছেন, ‘কিয়েভে আহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
তিনি বলেন, শেভচেনকিভস্কি জেলার শিশুদের জন্য একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডের জানালাগুলো শকওয়েভের আঘাতে উড়ে গেছে।
ক্লিটসকো আরো বলেন, গোলোসিভস্কি জেলায় একটি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনসহ ভবনগুলোরও ক্ষতি হয়েছে।
রাজ্য জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, এই হামলায় রাজধানীর একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে তিন জন ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পর রাশিয়ার এই হামলার ঘটনাটি ঘটল।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ক্রেমলিন তীব্র চাপের মুখে পড়েছে। চার বছর ধরে এই রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাশিয়াকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় দেশটিকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হলে, মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: