odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

চার দফা দাবিতে চবির সাধাারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সোহেল রানা, চবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১০ September ২০২৩ ২৩:০৩

সোহেল রানা, চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ September ২০২৩ ২৩:০৩

সোহেল রানা, চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের উপর অজ্ঞাতনামায় করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

১০ সেপ্টেম্বর, (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান।


শিক্ষার্থীদের চার দফা:

  • শিক্ষার্থীদের নামে দেয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে
  • আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে
  • শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্কার করতে হবে
  • চবি মেডিক্যালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করা হয়েছে।

সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী পূজা প্রামানিক বলেন, আমাদের দাবি গুলো খুবই স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অজ্ঞাতনামায় যে মামলা গুলো করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। শাটল ট্রেন ফিটনেস বিহীন বগি গুলো সংস্কার করতে হবে এবং নতন বগি যুক্ত করতে হবে। বগি বৃদ্ধির মাধ্যমে যেন সাধারণ শিক্ষার্থী প্রত্যেকের সিট নিশ্চিত হয়। আহতদের সকল প্রকার তত্ত্বাবধান এবং খরচ প্রশাসন থেকে করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত ঔষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী চক্রধর রায় বলেন,আন্দোলনে যে ভাঙচুর এবং সহিংসতা করা হয়েছে এর প্রেক্ষিতে প্রশাসন অজ্ঞতনামায় মামলা করেছে। কিন্তু এর দায় তো সাধারণ শিক্ষার্থীর নয় এর পেছনে যে কুচক্র মহল রয়েছে তাদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শহরে থাকে শাটল ট্রেন বন্ধের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাদের। যাতে দ্রুত শাটল ট্রেন চালু করা হয়।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হোসেন বলেন, শাটলের বগি সংকটের কারণে দুইজনের সিটে চারজন করে বসে যেতে হয়। প্রশাসনের কাছে দাবি বগি বৃদ্ধি এবং ইলেকট্রিক সিটির মাধ্যমে ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেয়া। পাশাপাশি মেডিকেলে পর্যাপ্ত ঔষধের ব্যবস্থা এবং এম্বুলেন্স আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নৈরাজ্য এবং ভাঙচুর করানো হয়েছে এর পেছনে স্বার্থন্বেষী যে মহলটি রয়েছে তাদেরকে সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এতে কোন সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল না।

গত ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, শাটল ট্রেনের বগিতে আগুন,পরিবহন দপ্তরে প্রায় ৬৫টি শিক্ষকবাসসহ প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাত জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: