ঢাকা | মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

হাওর মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত করা হবে : পানি সম্পদ উপদেষ্টা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৩

সোমবার  ঢাকায় পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়এসব কথা বলেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

'হাওর মহাপরিকল্পনা মূল্যায়ন ও হালনাগাদকরণের জন্য সমন্বিত সমীক্ষা' শীর্ষক প্রকল্পের ফলাফলের উপর এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

পানি সম্পদ  উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৩৭১ টি হাওরের সীমানা নির্ধারণ হওয়া উচিত। হাওরগুলোতে সীমানা চিহ্নিত করে এগুলো জলাধার কেন্দ্রিক প্রাণাদার হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করব।

তিনি বলেন,, হাওর মাস্টারপ্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত করা হবে।  চূড়ান্ত করার পূর্বে তা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ওয়েব সাইটে দেয়ার পরে যারা আজকে এখানে কর্মশালায় আসতে পারেননি কিন্তু যারা প্রকৃতি নিয়ে ভাবেন, পরিবেশ নিয়ে ভাবেন তাদেরকে আমরা জানাবো।  স্থানীয়রাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত পাওয়ার পরে আমরা হাওরের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদকরণের বিষয়টি চূড়ান্ত করবো।

উপদেষ্টা বলেন, এক এক হাওরের আসলে  ইকোলজিক্যাল বা পরিবেশগত আবেদন একেক রকম। কোন কোন হাওরে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয় আবার কোন কোন হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুধু ধান আর ধান চাষ হয়। সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে হাওরের মাস্টারপ্ল্যানটা বা মহাপরিকল্পনাটা  আসলে সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারে সে রকম সহজ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, হাওর  জীবন্ত সত্তা: আমাদের একটা নিজস্ব ইকো সিস্টেম। টাঙ্গুয়ার হাওর একটা গ্লোবাল হেরিটেজের সম্মান পেয়েছে। হাওরগুলো আমাদেরকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, হাওর হচ্ছে বাংলাদেশের একটা অনন্য ইকো সিস্টেম। হাওর বাংলাদেশের একটা অনন্য ইকো সিস্টেম হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। হাওর হচ্ছে আমাদের জন্য এক অনন্য প্রতিবেশ ব্যবস্থা।

'হাওর সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটনের জন্য বেশী পরিচিতি পেয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,হাওরে পর্যটনের কারণে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার উপর একটা প্রভাব পড়ছিল কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের আইন প্রয়োগের ফলে এটি এখন শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে।

হাওরের স্থানীয় মানুষজনকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় এবং দূষণরোধে   জায়গাটা বিক্রি বন্ধ  ও শিল্প প্রতিষ্ঠান  না করার জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, হাওরের ডুজ অ্যান্ড ডোন্ট'স এটা খুব ক্লিয়ারলি আমাদের বলে দিতে হবে। হাওরে মানুষ কি করতে পারবে আর কি করতে পারবে না  এসব নির্দেশনা এটা হাওর এলাকার স্থানীয়দের  সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতা করেম পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। এছাড়া স্বাগত বক্ততা করেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: