ঢাকা | সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইবি সাংবাদিকদের ওপর হামলা: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ইবি বৈছাআ'র

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২১:০৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ২১:০৪

ইবি প্রতিনিধি:


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ করার সময় অর্থনীতি বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।


রবিবার (১৩ জুলাই) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক পঙ্কজ রায় সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, "গত ১২ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:০০ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলার সময় মারামারির ঘটনা ঘটে। খেলায় সংঘটিত বিশৃঙ্খলার খবর সংগ্রহের জন্য উপস্থিত সংবাদকর্মীরা ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে, অর্থনীতি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী তাঁদের উপর হামলা চালায় এবং মোবাইল ফোন জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং সাংবাদিকদের প্রতি সহিংস আচরণের প্রতিবাদ জানায়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"


বিবৃতিতে আরোও বলা হয়, "সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয়, বরং তারা একে অপরের পরিপূরক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও সৌহার্দ্য রক্ষায় সবার সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। 


আমরা এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলের পক্ষ থেকে সচেতনতা, সহনশীলতা ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।"


উল্লেখ্য, শনিবার (১২ জুলাই) অর্থনীতি বিভাগের দুই বর্ষের ফুটবল ম্যাচ চলাকালে সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহকে মারধর ও তার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিক নূর-ই-আলম ভিডিও করতে গেলে তাকেও ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী মিলে মারধর করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সাংবাদিক রবিউলকেও মোবাইল নেওয়ার চেষ্টা করে তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনার সময় উপস্থিত কেউই বাধা দিতে সাহস পায়নি, পরে কয়েকজন বড় ভাই এসে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।


মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: