odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

রাবিতে রাকসু নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের ওপর সাইবার বুলিং, প্রশাসনের উদ্যোগেও কমেনি হয়রানি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৯ September ২০২৫ ২৩:৫৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৯ September ২০২৫ ২৩:৫৭

অধিকার পত্র ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অ্যান্টি সাইবার বুলিং সেল গঠন করলেও সামাজিক মাধ্যমে নারী প্রার্থীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ভুয়া আইডি দিয়ে চরিত্র হনন এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি।

তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ৩০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ছাত্রী প্রার্থী মাত্র ৩৪ জন, যা মোট প্রার্থীর ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। অথচ ভোটারদের প্রায় ৩৯ দশমিক ১১ শতাংশই নারী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২০টি পদের মধ্যে ১১ পদে কোনো ছাত্রী প্রার্থী নেই। অনেক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, সাইবার বুলিংয়ের ভয়ে তারা প্রার্থী হতে সাহস পাননি।

নারী প্রার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণামূলক পোস্টে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আসছে। কেউ কেউ ভুয়া আইডি খুলে অপমানজনক কনটেন্ট ছড়াচ্ছে। এমনকি প্রার্থীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে।

ভিপি পদে প্রথম নারী প্রার্থী তাসিন খান জানান, তার নামে ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ আইডি খুলে মানুষের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী নার্গিস খাতুন বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করা হচ্ছে। অন্য প্রার্থীরাও একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হলেও সাইবার বুলিং ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ থেকে এই ধরনের আক্রমণ নিয়মিত হচ্ছে।

অ্যান্টি সাইবার বুলিং সেলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শতভাগ সাইবার বুলিং বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে গ্রুপ ও পেজের অ্যাডমিনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে কিছুটা কমানো গেছে। পাশাপাশি একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যতে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা যায়।

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিলে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়বে এবং নির্বাচনী পরিবেশ আরও ইতিবাচক হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: