odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 11th December 2025, ১১th December ২০২৫
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে গোপন মিটিং; ডাকসু নেতার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পলায়ন অধ্যাপক আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন ও জিনাত হুদা ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ; গোপন মিটিং ও অস্থিতিশীলতার অভিযোগ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১১ December ২০২৫ ১৮:৫১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১১ December ২০২৫ ১৮:৫১

ঢাকা, অধিকারপত্র ডটকম:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ার মুখে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী নীল দলের আলোচিত শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর সঙ্গে

ছিলেন একই বিভাগের নীল দলের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদা।
গোপন মিটিং ও ধাওয়া
জানা যায়, আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদাসহ মোট পাঁচজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে একটি গোপন মিটিংয়ে মিলিত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিলেন।
খবর পেয়ে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন। দুপুর একটার দিকে ভবন থেকে বের হতেই এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে অধ্যাপক আ ক ম জামালকে ধাওয়া দেওয়া শুরু হয়।


প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, "খবর পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের ঘেরাও করি। পরে আ ক ম জামাল দৌড়ে ভবনের নিচে রাস্তায় চলে যান। এবি জুবায়ের ও অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁর পেছনে ছুটতে থাকেন।" পরে তাঁরা তাদের সঙ্গে থাকা প্রাইভেট কারে করে দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
ডাকসু নেতার ফেসবুকে ক্ষোভ
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি লেখেন:
“স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশ ফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আ কম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!”

এবি জুবায়ের আরও উল্লেখ করেন যে এই শিক্ষকরা 'চিহ্নিত খুনিদের দোসর' এবং তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তিনি প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।"

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: