odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 17th December 2025, ১৭th December ২০২৫

বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার ওপর বিশেষজ্ঞদের গুরুত্বারোপ থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৭ May ২০১৮ ২১:১২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৭ May ২০১৮ ২১:১২

 

 থ্যালাসেমিয়া মারাত্মক একটি জিনগত রক্তরোগ যা উত্তরাধিকার সূত্রে পিতা-মাতার কাছ থেকে শিশুরা পেয়ে থাকে। এই ধরনের রোগ নিয়ে শিশুদের জন্ম নেয়া প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা বিয়ের আগে পুরুষ ও নারীর রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. এম. আবদুর রহমান বাসস’কে বলেন, ক্রনিক রোগ থ্যালাসেমিয়ার সম্ভাব্য উদ্ভবের উপসর্গগুলো খুঁজে বের করার জন্য পুরুষ ও নারী উভয়েরই বিয়ের আগে একটি বিস্তারিত রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।
থ্যালাসেমিয়া রক্তের এমনই একটি রোগ যা দেহে হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা তৈরি করে। হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্ত কোষের প্রোটিন অণু, যা অক্সিজেন বহন করে। এই রোগের ফলে লোহিত রক্ত কোষ ধ্বংস করে দেয়, যা অ্যানিমিয়ার দিকে নিয়ে যায়। অ্যানিমিয়া হলো দেহের সুস্থ রক্ত কোষ শূন্য অবস্থা। 
যেহেতু থ্যালাসেমিয়া উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়, পিতা-মাতার মধ্যে একজন এই রোগ বহন করছে। এর ফলে জেনিটিক পরিবর্তন অথবা জিনের নির্দিষ্ট কিছু অংশ নষ্ট করে দেয়। 
ডা. রহিম বলেন, যখন একজন ব্যক্তি পিতা-মাতা উভয়ের কাছ থেকেই একটি করে থ্যালাসেমিয়া জিন উত্তরাধিকার হিসেবে পায়, তখন তাকে ‘থ্যালাসেমিয়া মেজর’ বলে। পিতা-মাতা উভয়েরই ‘থ্যালাসেমিয়া মাইনর’ থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে তাদের সন্তানের ‘থ্যালাসেমিয়া মেজর’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ২৫ শতাংশ। 
চিকিৎসকেরা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে শিশুর জন্ম দেয়া থেকে দূরে থাকতে আন্তঃপারিবারিক বিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মঞ্জুর হোসেন বলেন, যদি আমরা আমাদের দেশে এন্টি-নাটাল পরীক্ষা চালু করতে পারি, সেক্ষেত্রে আমরা থ্যালাসেমিয়া পজিটিভ শিশু জন্ম হার কমাতে পারি। 
দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, জিনগত রোগ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে দিন দিন থ্যালাসেমিয়া রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন। 
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত রক্ত পরিবর্তনের ওপর বেঁচে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, এটি রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চাপ। 
প্রধানত দুই প্রকারের থ্যালাসেমিয়া হলো- আলফা টাইপ ও বেটা টাইপ। এর মাধ্যমে বুঝা যায় কোন ধরনের হিমোগ্লোবিন জিন আক্রান্ত আর কোন ধরনের হিমোগ্লোবিন জিন নষ্ট। তবে কিছু ব্যাতিক্রম ধরনেরও আছে। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে ৭ শতাংশ আলফা টাইপ থ্যালাসেমিয়া রোগী আর ৪ শতাংশ বেটা টাইপ থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: