odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 16th December 2025, ১৬th December ২০২৫

জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে : বিশেষজ্ঞদের অভিমত

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৪ May ২০১৮ ০১:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৪ May ২০১৮ ০১:২১

 

 জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা জরুরি।
আজ বিএসএমএমইউয়ে মাস্টার ট্রেনার ট্রেনিং (টট) অন সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং বেইজড অন ভাইয়া এন্ড সিবিই’ শীর্ষক ৬ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।
এতে জানানো হয়,বাংলাদেশে ৩০ থেকে ৬০ বছরের ২৭ মিলিয়ন নারী রয়েছেন। যাদের সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প কার্যক্রমের আওতায় আনা জরুরি। 
ইস্টাবলিশমেন্ট অফ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং এন্ড ট্রেনিং এ্যাট বিএসএমএমইউ-এর প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বলেন,এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১.৬ মিলিয়ন নারীকে এ সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। 
বিএসএমএমইউর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার-এর হেড, স্ক্রিনিং গ্রুপ ডা. পার্থ বসু,ক্যান্সার ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া, কলকাতার পাবলিক হেলথ কনসালটেন্ট ডা. শ্রাবণী মিত্তাল। 
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন,দেশের সকল নারীকে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং আক্রান্তদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের আওতায় আনতে সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি শুরু হয়েছে, জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার আগেভাগেই নির্ণয় করা সম্ভব হওয়ায় অনেক মা-বোনের জীবন রক্ষা পাচ্ছে বলেও জানান উপাচার্য। 
তিনি বলেন,প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে তাই সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি মেডিক্যাল কলেজের ৮ জনসহ গাইনী বিভাগের ১৫ জন শিক্ষক,চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: