odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 15th December 2025, ১৫th December ২০২৫

চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৭০৩ কোটি টাকা সহায়তা জাইকার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ October ২০১৮ ১৯:৩৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ October ২০১৮ ১৯:৩৭

চিকিৎসা সেবার মান আরও বাড়াতে দেশের আট বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক এবং ইমেজিং ব্যবস্থা উন্নয়নে ৭০৩ কোটি টাকা সহায়তা দিবে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
এ লক্ষ্যে আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ও জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা লিয়াজো অফিসের জেনারেল ম্যানেজার রোহিলি ইশি চুক্তি সই করেন।
‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জাইকা ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনিসংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমেজিং সিস্টেম উন্নয়ন করবে।
জাইকা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন ও অর্থায়ন করে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায় শেষে চুক্তি স্বাক্ষরের পর্যায়ে এসেছে। আমরা আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যে ইমেজিং সিস্টেমের কার্যক্রম শেষ হবে এবং মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
চুক্তি সইয়ের পর এই কাজটি শুরু হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, মোট ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে সরকারি অংশ (জিওবি) ১৯৭ কোটি টাকা এবং জাইকা দেবে ৭০৩ কোটি টাকা। ইমেজিং সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে সিটিস্ক্যান, এমআরআই, মেমোগ্রাম, এনজিওগ্রাম, আলট্রাসনোগ্রাম, ক্লোনোস্কোপি ও গ্যাসস্ট্রস্কোপি।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রকল্পে জাপান সরকার তাদের দেশ থেকে যন্ত্রপাতিগুলো এনে আমাদের হাসপাতালে বসাবে। এমন যন্ত্রপাতিগুলো আমাদের হাসপাতালে আছে। এরপরও এই যন্ত্রপাতিগুলো পেলে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন হবে।
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে ১০০ থেকে ১৫০ বেডের ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন বিভাগীয় শহরগুলোতে ক্যান্সারের তেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। দেশে ক্যান্সার রোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে একটি করে কিডনি সেন্টার তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: