odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 20th December 2025, ২০th December ২০২৫

ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৬ November ২০১৯ ১৬:৪৯

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৬ November ২০১৯ ১৬:৪৯

জাতীয় দলে ফিরেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। শুক্রবার সৌদি আরবের রিয়াদে কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে মেসির একমাত্র গোলে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলকে পরাস্ত করেছে আর্জেন্টিনা।
জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড পাবার পর দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবলকে ‘দূর্নীতিগ্রস্থ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন মেসি। যে কারনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয় তাকে। গতকাল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে ফিরেই ১৩ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন। স্পট কিক থেকে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এলিসন তার শটটি আটকে দিলে ফিরতি বলে মেসি দলকে গোল উপহার দেন। তার তিন মিনিট আগে নেইমার বিহীন ব্রাজিলের হয়ে পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
বার্সেলোনার হয়ে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে লা লিগার শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি। ঐ ম্যাচটিতে দুটি গোল এসেছিল ফ্রি-কিক থেকে। গতকালও দ্বিতীয়ার্ধে সেট পিস থেকে দুইবার মেসি ঝুঁকিতে পড়েছিলেন লিভারপুলের গোলরক্ষক এলিসন।
গত মাসে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করা ১৮ বছর বয়সী রড্রিগোর ৭১ মিনিটে উইলিয়ানের পরিবর্তে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছে।
গতকাল ১৩ মিনিটে পিছিয়ে পড়েও পুরো ম্যাচে আর সমতা ফেরাতে পারেনি জেসুস, ফিরমিনোকে দিয়ে সাজানো ব্রাজিলের আক্রমনভাগ। কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর গত পাঁচ ম্যাচে এই নিয়ে জয়বিহীন থাকলো সেলেসাওরা।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর ব্রাজিলকে পরাজিত করা সব সময়ই আনন্দের। তাদের বিপক্ষে জয়ের রেশটা অনেকদিন থাকে। আজকের ম্যাচে সবদিক থেকেই আমরা এগিয়ে ছিলাম। গোলের অনেক সুযোগ এসেছিল, কিন্তু দূর্ভাগ্য। পরবর্তী ম্যাচগুলোতে এই আবহ ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই।’
এক বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত সৌদি আরবে দক্ষিন আমেরিকান দুই জায়ান্ট একে অপরের মুখোমুখি হলো। এর আগে গত বছর অক্টোবরে জেদ্দায় ব্রাজিল ১-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করেছিল। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনাল ও পরবর্তীতে শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: