odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 10th December 2025, ১০th December ২০২৫
ঐতিহাসিক পলাশী দিবসে অধিকার পত্র যা মনে করে

পলাশীর বিশ্বাসঘাতকতা ও স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রাম

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৪ June ২০২৫ ১৭:১৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৪ June ২০২৫ ১৭:১৩

২৩ জুন ১৭৫৭—বাংলার ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন। পলাশীর আম্রকাননে দেশীয় মীরজাফরদের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের তুলনায় বহুগুণ বেশি সৈন্য নিয়ে পরাজিত হন। এই পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বাংলার মানুষের জীবনে নামে পরাধীনতার নিকষ অন্ধকার, আর বাংলার ভাগ্য জড়িয়ে পড়ে ২০০ বছরেরও অধিকব্রিটিশ উপনিবেশিক শোষণ ও দুঃশাসনের শৃঙ্খলে।

এই অন্যায়ের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয় স্বাধীনতার সূর্য পুনরায় উদিত করার দুর্বার সংগ্রাম। তবে এ পথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। স্বাধীনচেতা বাংলার মানুষ দেশীয় নতুন রাজাকার ও বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে বারবার পিষ্ট হয়েছেন, নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। ১৭৫৭ থেকে ১৯৭১—এই দীর্ঘ সময়জুড়ে বাংলার মানুষ লড়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, স্বপ্ন বুনেছেন। অবশেষে ১৯৭১ সালে আবার উদিত হয় স্বাধীনতার সূর্য, যদিও ততদিনে ১৭৫৭ সালের বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে বিস্তর জমি, ইতিহাস আর সম্ভাবনা।

স্বাধীনতার পতাকা নতুন করে উত্তোলিত হলেও, মীরজাফরের রক্তধারীরা এখনো ষড়যন্ত্র থামায়নি। সামান্য বস্তুভিত্তিক লাভের জন্য তারা বারবার দেশের পিঠে ছুরি চালিয়েছে। পলাশী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—বাংলার ভাগ্যাকাশে আর কোনো মীরজাফরের ষড়যন্ত্র যেন কালোমেঘ হয়ে না জমে। ইতিহাস যেন আর কখনো নিজেদের মানুষ দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার পুনরাবৃত্তি না দেখে।

লেখক: ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (লিটু), অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উপদেষ্টা সম্পাদক, আমাদের অধিকা্রপত্র, odhikarpatranews@gmail.com



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: